শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগী শুধু তার পরিবারের জন্যই দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে আবির্ভূত হয় না বরং এটি আমাদের সমাজের জন্য একটি বড় বোঝা। জ্ঞানের অভাবই থ্যালাসেমিয়ার জন্য দায়ী। একজন বাহকের সঙ্গে অন্যজন বাহকের বিয়ের মাধ্যমেই এ দুঃখ-দুর্দশার সূত্রপাত। এটা থেকে বাঁচতে হলে আমাদের জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে থালাসেমিয়া নিরব মহামারি আকার ধারণ করেছে। থ্যালাসেমিয়া খুব সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য আমাদের সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যাতে একজন বাহকের সঙ্গে আরেকজন বাহকের বিয়ে রোধ করা যায়।
তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়ার মতো মহামারী এককভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব না। এজন্য সরকার, বিভিন্ন এনজিও ও গণমাধ্যম সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মাহফুজুর রহমান রাজ, ঢামেকের রক্ত রোগ বিভাগের প্রধান ডা. আলমগীর কবির, সহযোগী অধ্যাপক অসিত বরন, থ্যালাসেমিয়া রোগী ফারিয়া তাসনিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/