তিনি বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অবস্থানের কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। যে কারণে জনবল বাড়ানো, ২৫০ থেকে হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনসহ হাসপাতালের নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মানের নতুন জরুরি বিভাগ পরিদর্শন এবং হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের সার্বিক অবস্থা দেখে আমি সন্তুষ্ট। এখানে আন্তর্জাতিক মানের নতুন জরুরি বিভাগের পাশাপাশি ৬৫ বেডের আধুনিক স্ক্যান ইউনিট করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এছাড়া হাসপাতালের অ্যাম্বুলেনন্সসহ যা যা দরকার সবকিছুই পূরণ করা হবে।
‘এখানে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) আছে, তবে জনবল সঙ্কটে আইসিইউর কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। খুব শিগগিরই জনবল বাড়ানো হবে’-যোগ করেন মন্ত্রী।
এ সময় সারাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি রোগীও চিকিৎসা সেবার বাইরে নেই। তবে কয়েকজন মারা গেছেন। তারা হাসপাতালে দেরি করে এসেছেন।
এর আগে মন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ চিকিৎসকেরা তাকে অভিনন্দন জানান। পরে মন্ত্রী হাসপতোলের জরুরি বিভাগ, আইসিউ ও সিসিও ইউনিট ঘুরে দেখেন।
এসময় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ছাড়াও কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. এম এ মতিন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মহিউদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সোমবার (২২ জুলাই) কক্সবাজারে আরেকটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, কক্সবাজারের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক দেড়শো মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। যা শুধুমাত্র কক্সবাজারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এসবি/ওএইচ/