সম্প্রতি এ হাসপাতালের নতুন ভবনে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রাজধানীর রামপুরার বাসিন্দা স্কুলছাত্রী মেহজাবিন ঝুমকা (১৫)।
ঝুমকার চাচা হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের তরফ থেকে ডেঙ্গুর কথা স্বীকার করা হয়েছে।
পড়ুন>>নয় মাসেও এডিসের ডিম নষ্ট হয় না
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে হাসপাতাল চত্বরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে দুঃখ করে তিনি বলেন, যেখানে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন আজকে নিউজেও দেখেছি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাহলে কেন দুই মেয়র মশা নিধনে ব্যস্ত না হয়ে, অন্যর দোষারোপে ব্যস্ত?
‘বেশি কথা বলতে দেখছি দক্ষিণের মেয়রকে। কখনো বলছে ছেলেধরার মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এত বাড়েনি। কখনো বলছে এডিস মশার বড়লোকের বাসায় জন্মায়। তারা সচেতন হলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ’
রোগীর স্বজন হাফিজুর রহমান বলেন, আমার কথা হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা জেনে দুই মেয়রের লাভ কী? আপনারা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করেন। রোগীর সংখ্যা কত, হাসপাতালে কত-ইত্যাদি দেখার দরকার কী? এজন্য রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে, দেখার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে। তারা দেখছে। আপনারা কথা না বলে ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ করুন, অনুরোধ করছি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ১২৫ জন। গত দুইদিন থেকে এ সংখ্যা তুলনামূলক কম।
ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে সর্বমোট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সোমবার দুপুরের দিকে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ৭জন। এর মধ্যে চলতি মাসেই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর গতমাসে মারা যান একজন রোগী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এজেডএস/এমএ