হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামনের বারান্দায় তিনজন ডেঙ্গু রোগী মশারি টানিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রামেক হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন ভর্তি হলেও এরা সবাই বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসে ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে মোট ১৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৯১ জন। বর্তমানে ডেঙ্গু ওয়ার্ড ও অন্যান্য ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ৮২ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী। হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন একজন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। রোববার (০৪ আগস্ট) থেকে কোনো রেসপন্স করছেন না তিনি।
তিনি হলেন- আকিকুন্নাহার (৬৫)। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তার স্কুল শিক্ষক স্বামী আবদুল ওয়াহেদ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন এই ডেঙ্গুতে। স্বামী আবদুল ওয়াহেদ (৭৫) ও স্ত্রী আকিকুন্নাহার (৬৫) দু’জনেই ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
গত ২৩ জুলাই ঢাকাতেই মৃত্যুবরণ করেন ওই স্কুল শিক্ষক। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানউল্লাহ আহসানগঞ্জ স্মারক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
জানতে চাইলে রামেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস সোমবার বিকেলে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও তারা রাজশাহীর বাইরে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। আর হাসপাতালের বারান্দায় যারা মশারি টানিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত রোগী। জ্বর হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন। তাদের এনএস-১ এন্টিজেন পজিটিভ নন। বাসায় গিয়ে সাধারণ চিকিৎসা নিতে পারেন। কিন্তু এরপরও হাসপাতালে আসায় তাদের বারান্দায় মশারি টানিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শনাক্ত হওয়ায় ডেঙ্গু রোগীরা ওয়ার্ডেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনেই ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন হাসপাতাল উপ পরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসএস/টিএ