হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়েই হাসপাতালের বেশির ভাগ শয্যায় রোগী ভর্তি থাকে। ইতোমধ্যে ডেঙ্গুর ভয়াবহতায় রোগীর চাপ আরও বেড়ে গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে ১১৩ জন শিশু চিকিৎসাধীন। একইভাবে মেডিসিন, ডায়রিয়া, ডেলিভারি, সার্জারি, গাইনি ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেডিসিন ওয়ার্ডে ৫২ শয্যার বিপরীতে ২১৪, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে ৩২, ডেলিভারি ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে ৩৫, সার্জারি ওয়ার্ডে ৪৮ শয্যার বিপরীতে ৭৫ এবং গাইনি ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে ২৭ জন ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬ জন। সূত্র আরও জানায়, এখনো ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৩৪৩ জন। এর মধ্যে ৪৮ জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ২৩৯ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, প্রতিদিন যে সংখ্যক রোগী থাকে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক, নার্স ও শয্যা থেকে শুরু করে অনেক সংকট রয়েছে। এত কম চিকিৎসক-নার্স নিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া কষ্টসাধ্য। তারপরও আমরা ভালো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. বিধান চন্দ্র সেন গুপ্ত জানান, চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এসএইচডি/আরএ