ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সেমিনার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে সেমিনার শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার : ‘সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া চা বাগানে মাতৃমৃত্যু হ্রাস করা সম্ভব না। সরকারের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এসব সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করা সম্ভব বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে। এজন্য জেলা পর্যায়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একসাথে বসে কাজ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন মৌলভীবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক।

সেড ছয়মাসব্যাপী গবেষণা শেষে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক ম্যানুয়াল, ফ্লাইয়ার এবং পোস্টার প্রকাশ করে এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে।

এসব প্রকাশনা ও প্রামাণ্যচিত্র চা বাগানের মা ও মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে আগ্রহীদের ব্যবহারের জন্য। এসব সামগ্রী তৈরিতে সেড-কে সহায়তা করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)।

আয়োজনের প্রধান অতিথি মো. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‌‘চা বাগানের মায়েদের সুস্বাস্থ্যের জন্য বেসরকারি পর্যায়ের যেসব প্রকল্প আছে সেগুলোকে সরকারি প্রকল্পের সাথে সমন্বয় করতে হবে। বাগান পর্যায়ে সিআইপিআরবির যেসব বাগান সেবিকা আছে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট কার্যক্রমের মধ্যে এনে সেবা কাজ পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই বাগান পর্যায়ে সেবা মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পথ সহজ হবে। ’

সেমিনারের শুরুতেই সেড-এর পরিচালক ফিলিপ গাইন চা বাগান এবং অন্যদের ব্যবহারের জন্য যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক প্রকাশনা ও প্রামাণ্যচিত্র সম্পর্কে আলোচনা করেন।

আলীনগর চা বাগান থেকে আগত চা শ্রমিক প্রতিনিধি রাজীব কৈরী বলেন, ‘চা বাগানের মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়েও স্বাস্থ্যসেবা পান না। হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। যে কারণে অনেক দরিদ্র চা শ্রমিককে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। এতে অনেকেই গর্ভকালীন খরচ মিটাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। ’

অনুষ্ঠানে সিআইপিআরবির পরিচালক একেএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভির সার্জেন ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ এম ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা. সাখায়াত হোসেন প্রমুখ।     

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
বিবিবি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।