প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার এখনও রীতিমতো বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। তাই স্যানিটারি প্যাডের পরিবর্তক হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করেন পুরনো কাপড় বা অস্বাস্থ্যকর তুলা।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এই নারীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এবার তাদের জন্য মাত্র পাঁচ টাকায় স্যানিটারি প্যাডের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। একইসঙ্গে পিরিয়ডকালীন সময় সম্পর্কেও নারীদের সচেতন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ঢাকা শাখার প্রধান সালমান আহমেদ।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন থেকে বাংলানিউজকে জানানো হয়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার এখনও রীতিমতো বিলাসিতার পর্যায়ে। ফলে বাধ্য হয়ে অস্বাস্থ্যকর কাপড় ব্যবহার করে ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগের ঝুঁকিতে থাকেন নারীরা। এর সমাধানে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সস্তায় সুবিধাবঞ্চিত নারীদের মাঝে স্যানিটারি প্যাড পৌঁছে দেবে। মাত্র পাঁচ টাকায় এই প্যাড পাওয়া যাবে বিভিন্ন বস্তি ও স্টেশনগুলোতে।
ইতোমধ্যে বিদ্যানন্দের বাসন্তী গার্মেন্টসে এই ‘বাসন্তী স্যানিটারি প্যাড’র প্রোডাকশন শুরু হয়েছে। যদিও বর্তমানে প্যাড প্রতি দুই টাকা করে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, তবে উৎপাদন খরচ আরও কমানো সম্ভব বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া পিরিয়ডকালীন সময় সম্পর্কে সচেতন করতে প্রথম তিন লাখ প্যাড বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এই মাস থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রাজবাড়ী ও রংপুরের বিভিন্ন স্কুলে এগুলো বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
তবে বিদ্যানন্দের পাঁচ টাকা মূল্যের ‘বাসন্তী প্যাড’ নারীরা হাতে পেলেও এখনই সেটি বাজারে পাওয়া যাবে না । প্রথম পর্যায়ে সুবিধাবঞ্চিত নারী এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল প্রজেক্টের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এই প্যাডগুলো। এমনটাই জানিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বিদ্যানন্দ একটি শিক্ষা সহায়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ‘বাসন্তী স্যানিটারি প্যাডে’র আগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ‘এক টাকায় আহার’ এবং ২০১৯ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘বিক্রেতাবিহীন স্টল’ নিয়ে হাজির হয়েছিল বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এইচএমএস/এসএ