বিগত কয়েকমাস যাবৎ এ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় সাধারণ মানুষের মনে বিরাজ করছিল আতঙ্ক। কিন্তু বর্তমানে বর্ষা মৌসুমের বিদায়ের ঘণ্টা এবং শীতের আগমনী বার্তায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তারা বাংলানিউজকে জানান, গত মাসে পুরো জেলাজুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী ছিলেন ৯৬০ জন। চলতি মাসে তা কমে সর্বশেষ এ রোগে আক্রান্ত রয়েছেন ৬২৬ জন। ম্যালেরিয়া নিরাময়ে এবং স্বাস্থ্য সচেতনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা সংস্থা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তারা।
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শওকত আকবর বাংলানিউজকে বলেন, ম্যালেরিয়া রোগের জন্য রাঙামাটি জেলা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ছিল। কিন্তু সে অনুযায়ী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম। ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মাঝে মধ্যে কয়েকজন রোগী আমাদের হাসপাতালে আসেন। তবে তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, রাঙামাটি জেলাজুড়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা এবং মৌসুম পরিবর্তন হওয়ার কারণে রোগীর সংখ্যা আরও কমে শূন্যের কোটায় চলে আসবে বলে মনে করছি।
রাঙামাটির প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরের বিভিন্ন স্থানে ওষুধ ছিটানো হয়েছিল। বর্তমানে আমরা মশার উপদ্রব কম লক্ষ্য করছি। আশা রাখছি শহরের মানুষের মধ্যে ম্যালেরিয়া রোগটি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসআরএস