মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ‘বিশ্বস্বাস্থ্যসেবায় এসডিজি-২০৩০ অর্জন’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষুধামন্দা নেই, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১৮৮৮ মার্কিন ডলার, জিডিপিতে বর্তমান প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এর পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি ঘটছে। শিশুমৃত্যু হার, মাতৃমৃত্যু হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার মাধ্যমে বর্তমানে দেশে ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা চলে গেছে। বর্তমানে দেশের ৮ বিভাগে ৮টি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণকাজ, লিভার সিরোসিস রোগের জন্য আলাদা হাসপাতাল নির্মাণকাজের প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। যেভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাতে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের বেশ আগেই এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য উন্নয়নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের কাছে চারটি মূল বিষয় তুলে ধরে আরও বলেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গোটা বিশ্বকে এক ছাতায় চলে আসতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও অগ্রগতি আনতে বিশ্ব নেতাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিওএইচও) ইউনিভার্সাল হেলথ কারেজ (ইউএইচসি), ট্রিপল বিলিয়ন টার্গেটস, টুগেদারনেস, হেলথিয়ার ওয়ার্ল্ড- এই চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। পরে এই চারটি বিষয়ে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিস্তারিত তুলে ধরেন ও ব্যাখ্যা করেন এবং স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের নানা উদ্যোগ ও অবদানের বিষয়গুলি উল্লেখ করেন।
ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন নেপালের স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী উপেন্দ্র কুমার যাদব, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. পুনম ক্ষেত্রপাল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য দেশ থেকে আগত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান, বিভিন্ন দেশের সরকারি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএএম/এফএম