বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রোগীর স্বজনদের প্রতিবাদে হাসপাতালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী শামছুর রহমান শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে (পুরুষ-১) ভর্তি রয়েছেন।
জানা যায়, কৃষক শামছুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বাম পায়ের হাঁটুতে টিউমারজনিত যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। চলতি মাসের প্রথমদিকে তিনি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাড় জোড়া ট্রমা ও পঙ্গু বিশেষজ্ঞ ডা. শৈলেন্দ্রনাথ মিস্ত্রীর কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। ওই সময় তাকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে টিউমার অপারেশনের কথা বলেন চিকিৎসক। পরে তারা ৩০ হাজার টাকায় রাজি হলে গত ১৩ নভেম্বর রাতে বাম পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়।
কিন্তু, অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত জায়গায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হলে ২০ নভেম্বর হাসপাতালে ব্যান্ডেজ খুললে দেখা যায় টিউমারের বদলে হাঁটুর অন্যপাশের হাড় কেটে ফেলা হয়েছে।
রোগীর স্ত্রী জেসমিন নাহার বাংলানিউজকে বলেন, ব্যান্ডেজ কাটলে দেখি পায়ের টিউমার সেভাবেই রয়ে গেছে। যেখানে টিউমার সেখানে কাটেনি, হাঁটুর অন্য ভালো পাশে কেটেছে। এখন যন্ত্রণায় রোগীর হাঁটাচলায় কষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ডা. শৈলেন্দ্রনাথ মিস্ত্রী এখানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন। দেশে ফিরলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এমআরএম/একে