বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বরিশাল জেলা সিভিল কার্যলয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহামুদ হাসান।
লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, আগামী ১১ জানুয়ারি জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ওইদিন বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ জন ও সিটি এলাকায় ৪৯ হাজার ৬১০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ১০৫ শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৩ জন শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
তিনি বলেন, ওই দিন বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে ২ হাজার ২৫০ টি টিকা দান কেন্দ্রের মাধ্যমে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বরিশাল সিভিল সার্জনের এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবেন মোট ৪ হাজার ১০০ জন কর্মী। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।
সিভিল সার্জন বলেন, এরই মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার বাদ জুমা জেলার সব মসজিদের ইমামদের এ বিষয়ে জানানোর জন্য অবহিত করা হবে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এ ভিটামিনের বিকল্প নেই।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন বাংলানিউজকে জানান, শনিবার ১১ জানুয়ারি বরিশাল সিটি কপোরেশনের আওতায় ২২০ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৬১০ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫ হাজার ১০০ জন শিশুকে নীল রঙের ১ লাখ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৪ হাজার ৫১০ শিশুকে লাল রঙের ২ লাখ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ওই দিন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০ কর্মী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/