এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিতব্য এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে উপস্থাপন করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নভেল করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশের জরুরি সতর্কতা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে জরুরি এক সভায় এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এর আগে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভা করার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করলে মন্ত্রী এ প্রসঙ্গে সহমত ব্যক্ত করে ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১২ টায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহুসংখ্যক মানুষ বাণিজ্যিক কারণে চীনে যাতায়াত করছে। সুতরাং এ ভয়াবহ ভাইরাস বাংলাদেশে যেকোনো উপায়ে চলে এলে এটি আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। একারণে ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সকল ধরণের ভ্রমন সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে কোনো রকম আতংকিত না হতে অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্ভাব্য সব ধরণের প্রস্তুতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হাতে নিয়ে রেখেছে বলে জানান তিনি।
সভায় বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। যেহেতু চীনে বহু সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে, সুতরাং তারা সবাই এখন ফিরতে গিয়ে এ ভাইরাসের জীবানু বহন করে দেশে নিয়ে এলে তা আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
এমএএম/এবি