বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমস্যাটা এখন আর এন্ডেমিক নেই। সমস্যাটা এখন পেন্ডিমিক পর্যায়ে চলে গেছে।
‘এখন উৎপত্তিস্থল যেখানে, সেখানেও আমরা দেখতে পাচ্ছি আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কমছে এটা বোঝা যাচ্ছে না। বরং পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে বাংলাদেশ আক্রান্ত হবে না! একেবারে কাছাকাছি দেশ। বাংলাদেশেরও এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন এবং সরকারপ্রধান খুব সিরিয়াসলি বিষয়টি দেখছেন এবং সতর্কতা পালনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি আরও সতর্কভাবে মোকাবিলার জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্ততির কোনো ঘাটতি নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি এতে আমরা আক্রান্ত হতে পারি। আমরা ভিকটিম হতে পারি, এমন আশঙ্কা অনেক বেশি। সে হিসেবে আমাদের প্রস্তুতি আছে এবং আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।
পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সম্পর্কে কাদের:
মন্ত্রিসভার একজন সদস্য করোনা ভাইরাসের সাত ধরনের মধ্যে এক ধরনেরটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি। এখন এটা বাস্তবভিত্তিক প্রমাণ কতটা এবং এ ব্যাপারে এখনও শিওর হওয়ার বিষয় আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যাক বিষয়টা কী? সেটা তো অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। তাহলে আমাদের এখানেও বিষয়টা চলে এসেছে অলরেডি, সেটাও বুঝতে হবে।
‘কিন্তু বিষয়টা এখনও জানার আছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নানা খবর ছড়ায়, কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক- এটা এখনও জানার অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি পুরোপুরিভাবে জানার আগে এ বিষয়ে আমার মনে হয় এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। ’
এদিকে, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রাণলয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত হালদার বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে হেলথ চেকআপোর জন্য ভর্তি হয়েছেন মন্ত্রী। যদিও এখন তিনি সুস্থ। সুস্থ্যবোধ করছেন। বড় কোনো সমস্যা হয়নি তার।
মন্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা গুজব বলে জানান জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত হালদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ