এরা এক সপ্তাহ আগে ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দেশে এসেছেন। বিশেষ করে বিদেশফেরত যারাই দেশে আসবেন তাদের প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে আলাদা ভাবে দুই সপ্তাহ থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
সতর্কতকামূলক ব্যবস্থার জন্য এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে পাবনাতে বিদেশফেরত কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি ইতালি থেকে তিনজন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে একজন পাবনায় নিজ গ্রামে এসেছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এদের দুইজনের বাড়ি ঈশ্বরদী, একজনের চাটমোহর ও একজনের বাড়ি আটঘোড়িয়া উপজেলায়। তাদের প্রত্যেককে নিজ বাড়িতে আলাদা কক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন কাউকে আগেই নিজ উদ্যোগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা থেকেও বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
এদিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মূল ভবনের পাশে ২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আলাদা ভবন চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে পাবনায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
এদিকে পাবনা শহরের আরিফপুর আমেনা মনসুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চার তলা ভবনকে আইসোলেশন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে এক সঙ্গে ২শ মানুষকে পৃথক ভাবে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও জেলার প্রতিটি উপজেলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট আলাদা কক্ষ করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসক ও চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছু পর্যাপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালেহ মোহম্মদ আলী জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে পাবনার হাসপাতালগুলোতে। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী এলে তাকে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। তবে সংক্রামক বুঝতে পারলে বা সন্দেহ হলে আগে হাসপাতালে আসার দরকার নেই। হাসপাতালের হট লাইনে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, আর বার বার হাত ধুলে এই রোগ থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি একটি সাধারণ অসুখের মতই। যারা হার্টের রোগী, কিডনি দুর্বল, ফুসফুসে অসুখ সর্বপরি বয়স্ক ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ঝুঁকি রয়েছে। তবে কিশোর বা তরুণদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি কম বলে জানান তিনি।
কোনো প্রকারের অসুস্থ হলে স্বাস্থ্য বিভাগের হট লাইনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হটলাইনে যোগাযোগের জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
এদিকে করোনা আতঙ্কে দোকানগুলোতে ১০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
আরএ