ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা সংক্রমণ বাড়লে চিকিৎসার পূর্ণ প্রস্তুতির পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
করোনা সংক্রমণ বাড়লে চিকিৎসার পূর্ণ প্রস্তুতির পরামর্শ করোনা সংক্রমণ বাড়লে চিকিৎসার পূর্ণ প্রস্তুতির পরামর্শ

ঢাকা: দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণ হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এখনই পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ২০তম অনলাইন সভা থেকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

আলোচনা শেষে কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।  

২০তম অনলাইন সভায় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সভাপতিত্ব করেন। সভায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্যগণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের ও বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপের কারণেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। যেসব বিষয়ে এখনও উন্নয়ন প্রয়োজন সেসব দিকের ঘাটতিও চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন ঘাটতি-পূরণ করে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে।

জাতীয় পরামর্শক কমিটি পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশেও পুনরায় সংক্রমণের আশংকা রয়েছে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণ হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বারের মতো সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই করণীয় বিষয়ে রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ হাসপাতালের অব্যবহৃত শয্যা সংখ্যা সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে এখনও আইসোলেশন কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। সংকোচন করা হলেও যেন পুরোপুরি বন্ধ না করা হয় এবং প্রয়োজনে পুনরায় ব্যবহার করা যায় সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। কোভিড ভ্যাকসিনের টেকনোলজি নিয়ে এই দেশেই উৎপাদন করার সরকারের পরিকল্পনার প্রশংসা করা হয়।

জীবিকার স্বার্থে যেহেতু লকডাউন সম্ভবপর নয় তাই এই মুহূর্তে সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই কোভিড-১৯ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনসাধারণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যে মাস্ক বিষয়ক ক্যাম্পেইন করার পরিকল্পনা করছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়। কোভিড-১৯ মহামারির পরিস্থিতিতে অল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে আসছে। এ বিষয়ে ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ/নিয়ম জারি করা প্রয়োজন। সংক্রমণ প্রতিরোধে পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আগতদের স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে করোনাট্রেসার অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০
আরকেআর/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।