ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ শুধু মুখগহ্বরের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আর এতে মারা যান প্রায় সাড়ে আট হাজার রোগী।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রোটারি ক্লাব অব ঢাকা গোল্ডেন সিটি ও কমিউনিটি অকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট যৌথভাবে আয়োজিত ‘মুখগহ্বরের ক্যানসার ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়। ক্যানসার গবেষণার দায়িত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) প্রকাশিত সর্বশেষ অনুমিত হিসেব উল্লেখ করে ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।
আইএআরসির সর্বশেষ তথ্য উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে আক্রান্ত হারে এই ক্যানসার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অবস্থান করছে দ্বিতীয় স্থানে। এরমধ্যে পুরুষদের মধ্যে তৃতীয় ও নারীদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে।
অনুমিত হিসেবে বলা হয়, ধূমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্য, অ্যালকোহল বা মদ, মুখের অপরিচ্ছন্নতা, দাঁতের অযত্ন ইত্যাদিকে মুখগহ্বরের ক্যানসারের প্রধান প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষ করে ধোঁয়াহীন বা চর্ব্য তামাক যেমন, জর্দ্দা, সাদাপাতা, গুল, খৈনি ও নস্যি মুখগহ্বরের ক্যানসারের প্রধান কারণ।
এই ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য। তামাক ও অ্যালকোহল বর্জন, মুখের পরিচ্ছন্নতা ও দাঁতের যত্ন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ক্যানসারের প্রাথমিক প্রতিরোধ সম্ভব।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, উন্নয়নশীল দেশে তিনটি ক্যানসারের স্কৃনিং অর্থাৎ লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই নির্ণয় করা সম্ভব। যা অকালমৃত্যু প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।
তবে এই তিনটির মধ্যে স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যানসার সচেতনতা ও স্কৃনিং প্রোগ্রাম সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চালু হলেও মুখগহ্বরের ক্যানসারের ক্ষেত্রে তেমন কর্মসূচি দৃশ্যমান নয়।
ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক এবং ক্যানসার ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ও কমিউনিটি অকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. নাদিমুল হাসান, মাহমুদা আক্তার, অধ্যাপক কাজী মুঞ্জর কাদের, অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, রোটারি ইন্টারন্যাশনালের মো. রুবাইয়াত হোসাইন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
পিএস//টিএ