ঢাকা: স্বাস্থ্য বিভাগ ভালো করছে বলেই অর্থনীতিতে আমরা ভালো করছি, এমন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিভিন্ন দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় পয়েন্ট অতিক্রম করেছে।
বিশ্বের টিকা প্রস্তুতকারী সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যে টিকা সবার আগে পাওয়া যাবে, ইফেক্টিভ হবে এবং আমরা অ্যাফোর্ড করতে পারব— আমরা সেদিকে যাব।
তবে কোন কোম্পানির টিকা সেরকমভাবে এখনো প্রস্তুত হয়নি জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, যখন আসবে তখন আমরা আগেই পাব, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) উদ্যোগে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম ঢেউ কবে শেষ হবে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কবে শুরু হবে— সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে, সেটাও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ ভালো করছে বলেই অর্থনীতিতে আমরা ভালো করছি। বিভিন্ন দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। জিডিপি ছয়ের উপরে থাকার পেছনে স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসা সেবা অনেক উন্নত হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। মানুষ এখন সাহস পাচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে মানুষ মারা যায়না। প্রতিবেশী দেশেও রাস্তায় লাশ পড়ে রয়েছে। এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট শুরু হয়ে গেছে। দোকানপাট খুলে গেছে। মিল ফ্যাক্টরি চলছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। গার্মেন্টসে কাজ করছে শ্রমিকরা, গার্মেন্টসে অর্ডার আসছে। সবকিছু সম্ভব হয়েছে মানুষের সাহসের কারণেই।
জাহিদ মালেক বলেন, তবে প্রথম ওয়েব কবে শেষ হবে আর দ্বিতীয় ওয়েব কবে আসবে সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। শুধু এটুকু বলা যায় শীতের দিনে করোনার প্রভাব একটু বাড়বে। সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলা করতে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবেই সেকেন্ড ওয়েব মোকাবিলা সম্ভব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিভিন্ন ধরনের ভায়োলেন্স (সহিংসতা) দেখা দিয়েছে। এটি মূলত করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে মানসিকভাবে নানারকম সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণেই হচ্ছে।
বিপিএমসিএ’র সভাপতি এমএ মবিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বিপিএমসিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন খান, বিপিএমসিএ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
পিএস/এমজেএফ