ঢাকা: করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণ কাজে কিছুটা ধীরগতি এসেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ ধরনের হাসপাতাল এই প্রথম হচ্ছে। ১১তলা এ ভবনটিতে ৮শ শয্যা থাকবে। আমাদের তাগিদ রয়েছে এ হাসপাতালটির কাজ যেন অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে পারি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতালটি বিশ্বমানের হবে। এখানে বিশ্বমানের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও উন্নত গবেষণা ব্যবস্থাও রাখা হবে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে জনবলে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ডাক্তার, নার্সদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে কোরিয়ায়। যারা এই হাসপাতাল পরিচালনা করবে তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি,প্যানক্রিয়েটিক অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিবছর দেশের বাইরে চলে যাওয়া ৩-৪শ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এই হাসপাতাল চালু হলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
পিএস/এএ