বরিশাল: তিন দফা দাবিতে চতুর্থ দিনেও মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) চলছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ইন্টার্ন ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসককে কাজে দেখা যায়নি।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে আগের মতো চিকিৎসকরা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে হাসপাতালের পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া চিকিৎসকের সমন্বয়ে চিকিৎসেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নামোল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিক্যালের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেওয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
সবশেষ ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি মডেল থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নামোল্লেখ করে মামলা করেন।
মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিনগত রাত ১২টা ১মিনিটে কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরিবিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের সমঝোতার আশ্বাসে ওই সময় ধর্মঘট স্থগিত করা হয়। কিন্তু কোনো সমঝোতা না হওয়ায় শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে তিনদফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে।
ইন্টার্নদের দাবিগুলো-ডা. মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি।
সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমএস/এএটি