ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) শাখার কোনো অনুমোদন (লাইসেন্স) নেই শ্যমালীর আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের। শুধু মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারকোটিকস বিভাগের অনুমতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।
মঙ্গরবার (১০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) শাখার পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসাইন মিঞা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত করতে একটি টিম গঠন করে। তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে এসেছে। তদন্ত টিম প্রতিবেদন দেওয়ার পর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসার জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে ভর্তি করতে নেওয়া হয়েছিল। তার পরিবারের লোকজন যখন ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন সেই সময় হাসপাতালের লোকজন তাকে ভেতরে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
এরপর তাকে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে মাইন্ড এইড হাসপাতালের ভেতরে তাকে চেপে ধরে মেঝেতে ফেলে হাত বেঁধে মারধর করা হয়।
এএসপি আনিসুল করিমকে হত্যার অভিযোগে সোমবার রাতে তার বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় হাসপাতালটির ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
পিএস/এএ