করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাংলাদেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
এরই মধ্যে করোনার অনেক নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। হাঁচি, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের উপসর্গ ছাড়াও সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে দেখা দিচ্ছে নতুন ধরনের উপসর্গ।
জ্বর, শুকনো কাশি, গলাব্যথা, সর্দি, নাক বসে যাওয়া, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ইনফেকশন ও স্বাদ এবং গন্ধ চলে যাওয়া এগুলো করোনার পুরনো উপসর্গ।
আমেরিকান জার্নাল অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেটে ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা করোনার নতুন উপসর্গ। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে গুরুতর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হতে পারে।
চীনে ২০৪ জন রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ৪৮.৫ শতাংশ পেটের সমস্যায় ভুগছেন। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যার মধ্যে ডায়রিয়া, বমি বা বমি বমি ভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও রয়েছে।
সম্প্রতি অনেক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চোখের সংক্রমণের ঘটনাও শোনা যাচ্ছে। গবেষকদের দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে চোখেও। সাধারণ অর্থে যাকে ‘চোখ ওঠা’ বলে। অ্যালার্জি, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে চোখের সাদা অংশটি লাল হয়ে যায়, পানি পড়ে এবং চোখ চুলকাতে থাকে। এছাড়া চোখে নোংরা জমে এবং চোখ ও মাথায় ব্যথাও হয়।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
এমজেএফ