ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতাল ডাকাতি করছে: জাফরুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতাল ডাকাতি করছে: জাফরুল্লাহ ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ঢাকা: বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই করোনা চিকিৎসায় বিলের নামে এক ধরনের ডাকাতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

চিকিৎসার নামে দেশে যা চলছে তা কোনোভাবে কাম্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নজরদারি প্রয়াজন, যাতে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার না হয়ে সহজেই চিকিৎসা নিতে পারে।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, করোনার চিকিৎসায় আকাশচুম্বি খরচ হচ্ছে। ১ হাজার লিটার অক্সিজেনের দাম মাত্র ৭০ টাকা হলেও কোনো কোনো হাসপাতালে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন রকম পরীক্ষার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে। পরীক্ষার নামে ডাক্তাররা কমিশন নিয়ে থাকেন। এ জন্য ৪২০ ধারায় মামলা হতে পার।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, একটি বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে করোনার ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করা হয়ছে, তা যদি সরকারি নিজস্ব ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে করা হতো তাহলে প্রতি ভ্যাকসিনে আরও ২ ডলার খরচ কম হতো।

তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য সর্বপ্রথম করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। সরকারের অনুমতির অভাবে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। গ্লোব বায়োটেকের টিকাও প্রমেজিং, সরকারের এই টিকা প্রোমোট করা প্রয়োজন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালত বা জরিমানা করে তা সম্ভব নয়। পাবলিক সার্ভিস প্রণোদনা হিসেবে সবাইকে মাস্ক বিতরণ করা জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এই করোনা মহামারির ক্রান্তিকালে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনীসহ গণমাধ্যমকর্মীরা মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে ফ্রটলাইন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১৫ জন ডাক্তারসহ বহু সাংবাদিক, নিরাপত্তাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

প্রতিযোগিতায় সরকারি দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে পরাজিত কর বিরোধী দল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে দলগুলোকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

প্রতিযাগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, আবুল বশির খান, সাংবাদিক জিনিয়া কবির সূচনা, সাংবাদিক ফালগুনী রশীদ ও অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২০
পিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।