ঢাকা: ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে। সেই ভ্যাকসিন ভারত থেকে বাংলাদেশ কিনবে দুই ডলার করে।
প্রথম ধাপে এক কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার, দ্বিতীয় ধাপে এক কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার, তৃতীয় ধাপে তিন কোটি ৪৪ লাখ ও শেষ ধাপে দেশে ছয় কোটি ৮৮ হাজার ভ্যাকসিন আসবে।
‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রথম সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
সভায় প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। মূলত, ভ্যাকসিন কেনার জন্যই চলমান প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ভারত থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনা হবে। আশা করছি, দুই ডলার দামে প্রতিটা ভ্যাকসিন পাবো’।
যেভাবে ভ্যাকসিন বিতরণ করা হবে সেই বিষয়ে আলোচনা হয় একনেক সভায়। প্রথমে উৎপাদনকারী দেশ থেকে ভ্যাকসিন আসবে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে। এরপরে সেগুলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) হেড কোয়ার্টার স্টোররুমে সংরক্ষণ করা হবে। এরপরেই জেলা ইপিআই স্টোররুমে সংরক্ষণ রাখা হবে। জেলা থেকে উপজেলা স্টোররুম হয়ে ভ্যাকসিন ছড়িয়ে যাবে সর্বসাধারণের মধ্যে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রথম সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ছয় হাজার ৭৮৬ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবি ঋণ ছয় হাজার ৬১৪ কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
ভর্তুকির মাধ্যমে তিন কোটি ৪৪ হাজার ভ্যাকসিন কেনা হবে। এখানে মোট দাম ধরা হয়েছে এক হাজার ১৭৫ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এরপরে প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কোভ্যাক্স অথবা অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি এক কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ভ্যাকসিন কেনার জন্য দুই হাজার ২৬২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। ভ্যাকসিন শিপিং ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
এমআইএস/এএটি