ঢাকা: গত বছরের মার্চ থেকে বর্তমান মুহূর্ত পর্যন্ত করোনার আঘাত চলমান। শেষ কবে মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বেরিয়েছে মানুষ, সেটি জানতে খুলতে হবে ইতিহাসের খাতা।
‘লেট ইস বেটার দ্যান নেভার’- এ মন্ত্র মেনে আগামী বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) যেকোনো সময় ভারত থেকে করোনার টিকা ‘কোভ্যাকসিন’ বহনকারী বিশেষ ফ্লাইট স্পর্শ করবে ঢাকার মাটি।
প্রথমে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসছে ভারত থেকে। যা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উপহার।
পরবর্তীকালে আরও ৫০ লাখ ডোজ কেনা হবে। সেটিও খুব দ্রুত সময়ে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক।
ভ্যাকসিন আসা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই দেশে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। নানামুখী আলোচনায় উচ্ছ্বাসই বেশি ঝরে পড়ছে প্রায় সবার কণ্ঠ থেকে।
অন্য রোগের টিকার মতই কোভ্যাকসিন টিকা সবার জন্য নয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে টিকা প্রাপকদের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার পর ‘কোভ্যাকসিন’ প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, কাদের এ প্রতিষেধক এড়িয়ে চলা উচিত। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অথবা এমন কোনো ওষুধ খাচ্ছেন, যার প্রভাব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পড়ছে তাদের জন্য এ ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত নয়। এছাড়াও যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্ত মানুষের জন্যও এ ভ্যাকসিন নেওয়া নিষেধ। গর্ভবতী নারী ও যেসব মায়েরা তাদের শিশুদের বুকের দুধপান করান, তাদেরও এই প্রতিষেধক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ভারত বায়োটেক।
শুধু তাই নয়, জ্বর হলে, রক্তপাতের সমস্যা থাকলে, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার ওষুধ খেলে অথবা অন্য কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকলেও কোভ্যাকসিন নেওয়া অনিরাপদ।
এর বাইরে অন্য কোনো করোনার প্রতিষেধক নিয়ে থাকলে কোভ্যাকসিন নেওয়া শ্রেয় নয় বলেও সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিলিত গবেষণায় কোভ্যাকসিন টিকা তৈরি হয়েছে। যা ভারতে উৎপাদন করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। টিকাদান কর্মসূচিও চলছে ভারতে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
ডিএন/এসআরএস