ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেওয়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
অ্যান্টিবডি টেস্টের অনুমতি দেওয়া হয়েছে

ঢাকা: শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা জানতে কিটের মাধ্যমে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে সরকার।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য অনেকের দাবি ছিল। আজ থেকে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ আপনাদের যখন বললাম তখন থেকেই এটা চালু হয়ে গেল।

অ্যান্টবডি পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিট আছে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলনে, অ্যান্টবডি পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় যা কিট লাগে তা আনা হবে। তবে এই মুহূর্তে সরকারের কাছে কিট আছে কি না তা এখনও জানা নেই। অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও আমদানি করতে পারে। বিভিন্ন হাসপাতাল বা সংস্থা নিতে পারে। কাজেই এখানে ব্লকেড করা নাই। আমাদের হাসপাতালেও ব্যবহার করতে পারে, অন্যান্য জায়গায়ও ব্যবহার হতে পারে।

ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য জাতীয় কমিটির প্রস্তুতি মোটামুটি শেষ হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, জানতে পেরেছি একটা অ্যাপস তৈরি করার বিষয় ছিল, সেটাও একটা ফাইনাল স্টেজে চলে আসছে। ভ্যাকসিন কোন জেলায়, কোন উপজেলায় নিয়ে যাব, সেই পরিকল্পনাও করা হয়ে গেছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, যাদের আমরা প্রথমে ভ্যাকসিন দেব তাদের তালিকাও আমাদের হাতে আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আমাদের সময় দিয়েছেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার যে পরিকল্পনা সেটা তিনি উদ্বোধন করবেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে। সেখানে কিছু লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর মধ্যে যারা নার্স, রোগীর একদম পাশে থাকে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাদেরই আমরা প্রথমে ভ্যাকসিন দেব। পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে সবাই পাবে।

জেলা উপজেলা হাসপাতালে যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আসবেন তাদের আলাদা বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন, পর্যবেক্ষণে থাকবেন। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করেছি। আমরা ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করছি।

মন্ত্রী বলেন, ২০ লাখ ভ্যাকসিন আমরা পেয়ে গেছি। আগামীকাল আমাদের আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে আশা করছি। এ জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে।

সোমবারের ৫০ লাখ ছাড়া এই মাসে ভ্যাকসিনের আর কোনো লট আসবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটা হবে চুক্তির প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন। সরকারি টিকা দেওয়ার একটা পর্যায়ে বেসরকারি টিকা আনার অনুমোদন দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১/আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা
জিসিজি/আরআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।