ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হলো সোমবার হোটেল রূপসী বাংলায় ‘রিসেন্ট আপডেট্স ইন ম্যানেজমেন্ট অফ সায়েন্টিফিক ডিজিজ’ শীর্ষক এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন সানোফি-এ্যাভেন্টিস বাংলাদেশের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম।
সেমিনারে ঢাকার ১৫০ জনেরও বেশি মেডিসিন, সার্জারি এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন।
উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে সৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম বলেন- “বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সানোফি নতুন থেরাপেটিক সল্যুশন দিতে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে ওইসব ওষুধ রোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে যা তাদের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘সংক্রমনের বিরুদ্ধে আমাদের যাত্রা শুরু ১৯৬০ সালে ফ্লাজিল দিয়ে। সেই থেকে আমরা ক্রমান্বয়ে নতুন সব যুগোপযোগী ঔষধ, যেমন- ফাইমোক্সিল, সেফরাড, ফাইমক্সিক্লাভ, কার্বানেম ইত্যাদি কার্যকর ঔষধ নিয়ে এসেছি যা আপনারা সাদরে গ্রহন করেছেন। এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে আমরা তৈরী করেছি ফোর্থ জেনারেশন ইনজেক্টেবল এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ উইনিúাইম। আজ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা সংক্রমনের বিবর্তন এবং সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে আমাদের অবস্থান সংক্রান্ত বক্তব্য তুলে ধরবো। ’
এরপরে বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রের তিনজন স্বনামধণ্য অধ্যাপক মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলফিকার রহমান খান প্রফাইলেক্সিস রোগের উন্নত ঔষধের প্রয়োজনীয়তা এবং সার্জিকাল সাইট ইনফেকশনের বিষয়ে বক্তব্য দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ হাসপাতাল এবং এ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া নিয়ে কথা বলেন। এবং সর্বশেষে অধ্যাপক মো. আবিদ হোসেন মোল্লা বাংলাদেশে শিশুদের নিউমোনিয়া এবং এর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তার বক্তব্যে তুলে ধরেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞ প্যানেল মেম্বার হিসেবে অধ্যাপক শেখ নেসারুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক নাজমুন নাহার এবং অধ্যাপক এম এ মজিদ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য বক্তারা সানোফি এ্যাভেন্টিসকে তাদের তৈরি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বহুল প্রতীক্ষিত ফোর্থ জেনারেশন ইনজেক্টেবল সেফালোসফরিন উইনিúাইম সঠিক সময়ে যাত্রা শুরু করায় অভিনন্দন জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে নানারকম ডিজিটাল উদ্যোগ নেয়া হয়, যেমন এসএমএস এবং ইমেইল-এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এছাড়াও আগ্রহী ডাক্তাররা একটি ডেডিকেটেড ওয়েব পোর্টালে প্রি-রেজিস্ট্রেশন মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।
সেইসাথে সকল অংশগ্রহণকারী কনফারেন্স ভেন্যুতে স্বচ্ছন্দ্যে প্রবেশ করার জন্য একটি প্রক্সিমিটি সোয়াপ কার্ড ব্যবহার করেন। কাগজ নির্ভর বুকলেট এবং হ্যান্ডআউট্স-এর পরিবর্তে সকল অংশগ্রহণকারীকে সেমিনারের সকল তথ্য সম্বলিত একটি সিডি দেওয়া হয়।
সেমিনারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল লাইভ ওয়েব কাস্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপর, খুলনা এবং ময়মনসিংহ থেকে ডাক্তারদের অংশগ্রহণ।
সানোফি-এ্যাভেন্টিসের বিজনেস অপারেশন ডিরেক্টর জনাব শেখ নাহার মাহমুদ-এর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সানোফি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ প্রস্তুত করে এবং রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী থেরাপেটিক সল্যুশন দেয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে সানোফি এ্যাভেন্টিস সাতটি মূল বিষয়ে কাজ করে: ডায়বেটিস সল্যুশন, হিউম্যান ভ্যাকসিন, ইনোভেটিভ ড্রাগ্স, রেয়ার ডিজিজেস, কনজুমার হেল্থ কেয়ার, ইমার্জিং মার্কেট এবং এনিমেল হেল্থ। সানোফি প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জ (ঊটজঙঘঊঢঞ: ঝঅঘ) এবং নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ (ঘণঝঊ: ঝঘণ)-এর তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি।
সানোফি-এ্যাভেন্টিস বাংলাদেশ একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি যা ডায়বেটিস, কার্ডিওভাসকুলার ডিডিজ এবং ক্যানসার প্রতিরোধ উন্নত ঔষধ তৈরিতে কাজ করে থাকে। সেইসাথে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিভিন্ন তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে জনসাধারনের কাছে পৌঁছে দেয়। বাংলাদেশ সরকার কোম্পানিটির ৪৫.৩৬% শেয়ারের মালিক।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২