নীলফামারী: রংপুরে চিকিৎসাসেবায় ঢুকে পড়েছে শক্তিশালী দালাল ও প্রতারক চক্র। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিভ্রান্তিতে পড়ছেন।
স্থানীয়রা এই চক্রের হাতে পড়েন না। তবে বাইরে থেকে কোনো রোগী এলে বাসস্ট্যান্ডে ও রেলস্টেশনে রোগীদের ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করে পটিয়ে ফেলেন। তারপর নিয়ে যান নির্ধারিত ডাক্তার ও ক্লিনিকে। ডাক্তার রোগীকে দেখে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ভিজিট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজ ধরিয়ে দেন। আর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ৪/৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এখানেও সেই ডাক্তারের কমিশন মেলে।
সপ্তাহ, মাস ওষুধ খেয়েও কোনো উপকার হয়না রোগীর। ফলে ফের এলে জানতে পারেন ওই ডাক্তারের হাত ভালো না। আপনি দালাল ও প্রতারকের হাতে পড়েছেন। তারপর ভুক্তভোগীরা ডাক্তার ও ওষুধ বদল করেন। ততদিনে যা ক্ষতি হবার তা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালাল ও প্রতারক জানান, এই রিকশাটি ডাক্তার সাহেব কিনে দিয়েছেন। আমি রিকশা নিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘুরঘুর করি। কোনো রোগী পেলে ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। বিনিময়ে ২০০ টাকা পাই।
এসব কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দালাল ও প্রতারক থেকে সাবধান থাকার জন্য সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তবুও অজানা জায়গায় এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। ফলে আরোগ্যের স্থলে জটিল হচ্ছে রোগীদের রোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২২
এমআরএ