খুলনা: খুলনার খানজাহান আলী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ইলিয়াস ফকির (৩৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইলিয়াস ফকির দাকোপ উপজেলার জয়নগর গ্রামের হাবিবুর রহমান ফকিরের ছেলে।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে মৃত্যুর পরপরই হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসকরা পালিয়ে যান। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের হিসাব রক্ষক ও একজন সেবিকাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী পারভীন বলেন, পাঁচ মাস আগে ইলিয়াস ফকিরের হার্নিয়া হয়। তখন তিনি ওই এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ সেবন করেন। তাতে সুস্থ না হওয়ায় তিনি মহানগরীর মোহাম্মাদ নগরের ফার্মাসিস্ট মনির সঙ্গে কথা বলেন। তখন ইলিয়াসকে খানজাহান আলী হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী রোববার দুপুর ১টার দিকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা হয় তাকে। বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল, ডা. মোর্শেদ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মোহন অপারেশনের জন্য কক্ষে প্রবেশ করেন। অপারেশন সফল হয়েছে বলে চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনদের জানান। এর কিছুক্ষণ পর ইলিয়াস ফকিরের এক আত্মীয় গিয়ে দেখেন তার খিচুনি উঠেছে। রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমাদের পরিবারের এক সদস্যকে ডেকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক পালিয়ে যান।
নিহতের বেয়াই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হার্নিয়া অপারেশনে কোনো রোগী মারা যায় না। রোগীর কথা জিজ্ঞাসা করতেই হাসপাতালের পরিচালক ও অন্যান্য চিকিৎসকরা একে একে পালিয়ে যেতে থাকেন। অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে ইলিয়াসকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসেন।
নিহতের ভাতিজি বিথি বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হার্নিয়া অপারেশন করতে আসেন আমার চাচা। অপারেশন করতে নেওয়ার এক-দেড় ঘণ্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। তখন আমার ফুফু চাচার চোখ বড় বড় হয়ে যেতে দেখেন। ডাক্তাররা কেউ ছিলেন না। পরে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
এমআরএম/এসআই