ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিজারিয়ান শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি

হেলথ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২
সিজারিয়ান শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি

ঢাকা : স্বাভাবিকভাবে শিশু জন্ম দেওয়ার চেয়ে সিজারের মাধ্যমে শিশু জন্ম দেওয়ার প্রতি এখন আমরা অনেকেই ঝুঁকে যাচ্ছি।

এছাড়া অনেকেই মনেও করে থাকি যে, সিজারিয়ান শিশুর জন্ম ঝুঁকি কম থাকে এবং তুলনামূলক সুস্থ শিশু জন্ম দিতে পারি।



কিন্তু এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি একেটি গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, সিজারিয়ান শিশু স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের তুলনায় স্বাস্থ্যগত সমস্যায় বেশি ভোগে।

এই গবেষণায় দেখা গেছে, সিজারিয়ানের জন্ম নেওয়া অপরিণত শিশুদের জন্মে কোন উল্লেখযোগ্য সাহায্য করে না। উপরন্তু তাদের নিঃশ্বাসজনিত সমস্যার কারণ ঘটায়।        

গবেষণাটিতে আরও দেখা যায় যে, সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্ম নেয়া অপরিণত শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয় স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেয়া শিশুদের চাইতে।

ডায়েমস এর ডেপুটি চিকিৎসা পরিচালক ডায়ান অ্যাস্টন তার গবেষণা কাজটির মাধ্যমে প্রচলিত সিজারিয়ান পদ্ধতি সম্পর্কে সকলের ধারণা পাল্টে দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, যদিও অনেক ক্ষেত্রেই সিজার করা শিশু বা মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন, কিন্তু এই গবেষণা প্রমাণ করেছে যে সব ক্ষেত্রে শিশুদের জন্য অপারেশন লাভজনক নাও হতে পারে। কারণ শিশুর মায়ের গর্ভে স্বাভাবিকভাবে পরিপক্ক হতে ৩৯ সপ্তাহ প্রয়োজন হয়।
     
গবেষণাটির সহগবেষক ছিলেন, জনস হপকিন্স স্কুল অফ মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক এরিকা এফ ওয়ারনার এবং ইয়েল স্কুল অফ মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক হেথার এস লিপকিন্ড। তারা মোট ২৫৬০ জন অপরিণত শিশুর জন্ম প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে একসঙ্গে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  

সেখানে দেখা যায়, অপরিণত বৃদ্ধি এবং যে সব শিশুরা গর্ভে প্রয়োজনমত বাড়ছে না তাদের বেলায় সিজার হয়ে থাকে।

ড. ওয়ারনার এবং তার দল গর্ভাবস্থার ৩৪ সপ্তাহ  জন্মগ্রহণকারী সিজারিয়ান এবং স্বাভাবিক ২৫৬০ জন শিশুকে পর্যবেক্ষণ করে এই তথ্য দেন। গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশুদের চেয়ে ৩০ শতাংশ সিজারিয়ান শিশুর মাঝে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে।    

গবেষণা প্রতিবেদনটি ৩২তম বার্ষিক ‘দ্যা প্রেগনেনসি মিটিং’ এ প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় : ১০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।