ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সনদ ছাড়া গ্রাম্য ‘ডাক্তার’ চিকিৎসা দিতে পারবেন না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
সনদ ছাড়া গ্রাম্য ‘ডাক্তার’ চিকিৎসা দিতে পারবেন না

ঢাকা: গ্রাম্য ‘ডাক্তার’ যাদের চিকিৎসা বিষয়ে শিক্ষা, যোগ্যতা এবং সনদ নাই তাদের চিকিৎসা করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে চেষ্টা করছি। সেবার মানোন্নয়নে অনেকগুলো দিক আছে। এ ক্ষেত্রে অনেক জনবল প্রয়োজন হয়, অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। আমরা এখন প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। যদি প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের স্বাস্থ্য সেবার আরও অনেক উন্নয়ন হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি হেলথ কেয়ার মূলত কমিউনিটি ক্লিনিক ও ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার, আমাদের ১০ বেড হাসপাতাল আছে, ইউনিয়ন হেলথ সেন্টার আছে, এছাড়াও ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যারা এই প্রাইমারির স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রে একটি বিষয়ে বেশি জোর দিচ্ছি, তা হলো প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবায় যা যা করা দরকার তা আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন স্কুল হেলথের ওপর জোর দিচ্ছি, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন স্বাস্থ্যসেবা সম্বন্ধে জানে, তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্বন্ধে জানে, মাদক থেকে তারা যেন দূরে থাকে, এসব বিষয়ে তাদেরকে ধারণা দেওয়া হবে।

গ্রামের চিকিৎসা সেবা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা গ্রামে চিকিৎসা দেন, তাদের অনেকে কোয়ালিফাইড না, তাদের কোনো সনদ নাই, তারা এন্টিবায়োটিকও এবং নানান ওষুধ প্রেসক্রিপশন করে। অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, যারা নিবন্ধিত না, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিককে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং আগামীতে আরও বন্ধ করা হবে। যারা গ্রামে চিকিৎসা দেয়, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো শিক্ষা, যোগ্যতা বা সার্টিফিকেট (সনদ) নেই। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দিতে দেব না। এ বিষয়ে আমরা খুব শিগগিরই পদক্ষেপ নেব। এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২২
আরকেআর/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।