ঢাকা: দেশে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ রোগী এবং মারা যান ১৭৯ জন।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৮২ জন মারা গেছেন। এর মাধ্যমে চলতি বছর ডেঙ্গুতে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যু বছর ২০১৯ সালকেও ছাড়িয়ে গেল।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২০ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকায় ৪৫০ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৩৭০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বর্তমানে দেশে সর্বমোট তিন হাজার ২২৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ৯৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে এক হাজার ২৭৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা মোট ৪৪ হাজার ৮০২ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা মোট ২৯ হাজার ৬৯৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা মোট ১৫ হাজার ১০৪ জন।
একই সময়ে দেশে ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৪১ হাজার ৩৯৭ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা মোট ২৭ হাজার ৬৩৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ছাড়প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা মোট ১৩ হাজার ৭৫৮ জন।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ হাজার ২৬৫ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২
আরকেআর/জেডএ