ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

দার্জিলিংয়ের কমলা চাষে সফল রাজবাড়ীর ছরোয়ার

কাজী আব্দুল কু্দ্দুস, ডিষ্ট্রিক্টকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
দার্জিলিংয়ের কমলা চাষে সফল রাজবাড়ীর ছরোয়ার

রাজবাড়ী: ইউটিউব দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন রাজবাড়ীর ছরোয়ার হোসেন বিশ্বাস বাবু নামে এক যুবক। এরপর তিনি বিষমুক্ত ফল বাজারজাত করতে কমলা চাষ করেন।

তার বাগানে এখন দার্জিলিংসহ ২ জাতের কমলা চাষ হচ্ছে।

ছরোয়ার হোসেন বিশ্বাস বাবু রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের চরবাগমারা এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। এখানেই তার কমলা বাগান।

করোনাকালে বিকল্প অয়ের উৎস হিসেবে কিছু করার জন্য ২০২০ সালের শেষদিকে ইউটিউব দেখে কমলা ও মাল্টার বাগান করেন তিনি। পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ১৬০টি কমলার চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পাশের প্রায় পৌনে ২ বিঘা পতিত জমিতে চাষ শুরু করেন। তিন বছর পর ফলন পাওয়ার কথা থাকলেও দুই বছরেই প্রতিটি গাছে প্রচুর ফলন দেখা দেয়। কমলার আকার, রঙ, রস দেখে খুশি ছরোয়ার।

প্রতিদিন তার বাগান দেখতে আসছেন অনেকেই। কমলা সুস্বাদু হওয়ায় গাছ থেকেই ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

বর্তমানে বাগানে দার্জিলিং ও চায়না জাতের কমলা আছে। পাশাপাশি তার ভাইদের সঙ্গে যৌথভাবে আছে মাল্টা, ড্রাগন ও পেয়ারা বাগান। তাদের দেখাদেখি অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন কমলা চাষের প্রতি।

কমলার বাগান দেখতে আসা আব্দুল মতিন ও রেবেকা বলেন, ‘এ অঞ্চলে এ রকম কমলার বাগান আগে কখনো দেখিনি। প্রতিটি গাছই কমলায় পরিপূর্ণ। কমলা ছিড়ে খেয়ে দেখেছি অনেক মিষ্টি। যার কারণে একটি-দুটি গাছের কমলা কিনে নিয়েছি। নিজেরাও বাগানের কথা ভাবছি। ’

উদ্যোক্তা ছরোয়ার হোসেন বিশ্বাস জানান, গাছগুলিতে প্রায় ১০ বছর ফল ধরবে। বাগানটি করতে প্রায় পৌনে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যা এবার কমলা ও চারা বিক্রিতে উঠে যাবে। ২০০ টাকা কেজি দরে গাছে থাকতেই কমলা বিক্রি হচ্ছে। সুস্বাদু হওয়ায় এ কমলার অনেক চাহিদা। বর্তমানে প্রায় ৮০ ভাগ ফল বিক্রি হয়ে গেছে। কমলার পাশাপাশি মোট ১০ বিঘা জমিতে মাল্টা, ড্রাগন ও পেয়ারার চাষ করা হয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এম আসাদ্দুজামান অভি জানান, রাজবাড়ীতে বর্তমানে কমলা ও মাল্টাসহ মিশ্র ফল বাগানে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। এসব উদ্যমী চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। এ অঞ্চলে কমলা চাষ অনেক কঠিন। তারপরও বেশ কয়েকটি ভালো বাগান হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।