ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

‘মাটির ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
‘মাটির ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করতে হবে’ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, মাছ ও মাংস। এর মূল উৎস হচ্ছে কৃষি।

এর পেছনে রয়েছে মাটি। মাটি হচ্ছে জীবন। মাটির ব্যবস্থাপনা কত গুরুত্বপূর্ণ এটা বুঝতে হবে। মাটিকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের (কৃষিখাতকে) সমৃদ্ধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার জোগাড় করা বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ আগে খাবার পেত না, ভাত পেত না। দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বারবার। ২০০৪-০৫ সালে উত্তরাঞ্চলে আমি দেখেছি মানুষের হাড্ডিসার চেহারা। এখন মানুষ দু-বেলা খেতে পারে। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় পুষ্টি জাতীয় খাবারের বিষয়ে জোর দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, যেখানে যাই, কথা বলি সারা পৃথিবীর মানুষই আমাদের প্রশংসা করে। সবাই আমাদের কথা শুনতে চায়। বাংলাদেশের সফলতার কথা যখন আমরা বলি, সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে, কীভাবে বাংলাদেশের এতো সাফল্য!

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষির অবদান জিডিপিতে কমে যাচ্ছে। কিন্তু কৃষির গুরুত্ব তো কমছে না। কারণ কৃষির মাধ্যমে ১৭ কোটি মানুষের চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে। জমি কমছে, পানির উৎসও কমে যাচ্ছে।

নির্বাচনের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। দেশটায় শান্তি দরকার, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। আপনারা জানেন, বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল। আমরা তাদের বারবার বলেছি, আপনারা নির্বাচনে আসেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছেন। একসঙ্গে বসে আলোচনার কথা বলেছেন। সেটাতে তিনি রাজি হননি, তিনি গেছেন সন্ত্রাসের পথে। গাড়িতে আগুন দিলেন, রেললাইন উপড়ে ফেললেন। নির্বাচন কেন্দ্রে স্কুলে আগুন দিলেন। সারাদেশে সহিংসতা করলেন। ২০১৫ সালে তিন মাস একটানা হরতাল অবরোধ করলেন। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, সরকার পতন ছাড়া তিনি ঘরে ফিরবেন না। পরে ব্যর্থতার কালিমা লেপে তিনি ঘরে ফিরলেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও গণভবনে আছেন এবং অত্যন্ত সফলভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, যা সারা পৃথিবীতে সমাদৃত হয়েছে। তিনি জাতিকে সম্মান ও গৌরবের দিক থেকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার জন্য মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। পানি ও মৃত্তিকা সম্পদের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে পানি ও মাটি আজ অবক্ষয়ের সম্মুখীন। ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও মাটির অবক্ষয় রোধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারবদ্ধ।

কৃষি গবেষণা কাউন্সিল চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মাটির বিকল্প নেই। তাই মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখা জরুরি। মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকলে, আমাদের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মৃত্তিকা দিবস অ্যাওয়ার্ড, মৃত্তিকা যত্ন অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের পুরস্কার দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
এনবি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।