ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

এইচ এম নাঈম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি। সবুজ মাঠে সরিষা ফুলে হলুদের চাদরে ঢাকা পড়েছে এলাকা জুড়ে।

যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু হলুদের দোল খাওয়া দৃশ্য দেখে জুড়িয়ে যায় মনপ্রাণ। সরিষা ক্ষেত দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। সেই সঙ্গে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীদের মোবাইলে ছবি তোলারও অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলায় গত কয়েক বছরের তুলনায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। তাই কম খরচে বেশি ফলনের আশায় এবছরও চাষাবাদ করেছেন কৃষকেরা। উঁচু জমিতে আবাদকৃত আমন ধান গোলায় তুলে পতিত জমিতে হেমন্তের শেষের দিকে সরিষার বীজ বুনন করেছিলেন। বাম্পার ফলনও হয়েছে। কৃষক-কৃষাণীর মুখে হাসির ঝিলিক। আর কিছু দিন পরই এই শস্য ঘরে তুলতে পারবেন তারা।

সরিষা চাষ করেছেন এমন কয়েকজন কৃষক বলেন, গত বছর সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। তাই এবারও সরিষার চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে সরকারি প্রণোদনায় ভালো বীজ ও সার পেয়েছি। কৃষি কর্মকর্তারা আমাদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে আমাদের হাতে কলমে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেভাবে জমিতে সরষে ফল ফুটেছে আমরা আশাবাদী বাম্পার ফলন হবে। কেননা গত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে।

ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সরষে একটি লাভজনক ফসল। গত বছর এই জেলায় ৮০৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছিল। ফলন ভালো হওয়ায় এবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার ১৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কৃষকেরা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, এক হেক্টর জমিতে তিন থেকে চার মণ সরিষা পাওয়া যাবে। এক কেজি সরিষা থেকে ৩৫০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম তৈল পাওয়া যায়। সরকারিভাবে কৃষকদের সার ও বীজ প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক মাঠে-ময়দানে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে জাচ্ছি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।