ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে লাভবান হবে কৃষক

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে লাভবান হবে কৃষক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): কাঁদা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে প্রায় ৩-৫ হাজার লিটার পানি খরচ হয়। তবে নতুন কোনো জাতের উদ্ভাবন ছাড়াই বোরো ধান চাষে পানি সেচের পরিমাণ দুই গুণ কমিয়ে ফলন বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও তার গবেষক দল।

 

মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রচলিত কাঁদা পদ্ধতিতে বোরো ধানের জমিতে ১৫-৩০ বার সেচ দিতে হয়। তবে আমাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৪-৮ বার সেচ দিয়েই ফসল ফলানো যাবে। এ প্রযুক্তিতে সামান্য অংকুরিত বীজ জো (জমির অনুকূল আর্দ্রতা) অবস্থায় জমিতে লাইন করে লাগাতে হবে। তবে বীজ বপন করতে হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।  

এ পদ্ধতির উপকারি দিক সম্পর্কে তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি খুব সামান্য উত্তোলন করতে হয় বলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের খরচ কম হয়। জমিতে পানির পরিমাণ কম থাকায় কাঁদা পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ নিতান্তই কম হয়। এ পদ্ধতিতে ধানের জীবনকাল ১৫দিন কমে যায়। এতে আমন ধান কাটার পর সরিষা, আলু বা অন্যান্য রবি শস্য চাষের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। ফলে কৃষক একটি বাড়তি ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

তবে নতুন এ পদ্ধতির একমাত্র বাঁধা ছিলো ‘আগাছা’। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির অর্থায়নে পরিচালত গবেষণায় ড. মশিউর ও তার দল আগাছা ব্যবস্থাপনার ‘সমন্বিত পদ্ধতি’ উদ্ভাবন করেন। এ সমন্বিত পদ্ধতিতে কৃষকের আর্থিক সাশ্রয় হবে এবং পরিবেশের ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না। তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন ডি এ ই এর ডি ডি (এল আর) জয়েন উদ্দিন, পিএইচডি শিক্ষার্থী শাহজাহান সরকার এবং রিসার্স ফেলো মোজাহার হোসেন।

এ পদ্ধতি সম্পর্কে ড. মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ’ বর্তমানে একটি লাভজনক ও সময়োপযোগী প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ করলে যেমন লাভবান হবেন কৃষক তেমনি লাভবান হবে সরকার ও দেশ।

সহায়ক গবেষক জয়েন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে নতুন এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুর, রংপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী অঞ্চলে দেশীয় জাতের বিরিধান-২৮ ও বিরিধান-৫৮ চাষ করে কম খরচে বেশি ফলন পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৬
এনটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।