ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আগামীতে এনবিআরের সংলাপে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে এফবিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৬
আগামীতে এনবিআরের সংলাপে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে এফবিসিসিআই ছবি: শাকিল-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাজেট প্রস্তাবনায় দেওয়া ৪৪৭টি প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র ৫৩টি রাখায় আগামীতে প্রস্তাবনা দিতে যাবেন কি-না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই)  সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সংশয়ের কথা জানান তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘বাজেট প্রস্তাবনা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির সংলাপে ডাকা হয়েছিল এফবিসিসিআইকে। সভায় আমরা আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্কখাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৪৪৭টি প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে মাত্র ৫৩টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে। দীর্ঘ চার মাস কঠোর পরিশ্রম করে আমরা প্রস্তাবনা তৈরি করেছিলাম। সেগুলোর সিংহভাগই না রাখায় আমাদের সেই পরিশ্রমই বৃথা গেলো। তাই আগামীতে এনবিআর ডাকলে আর যাবো কি-না, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে’।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘চারমাস শ্রম দিয়ে এনবিআরকে যে প্রস্তাব দিয়েছি, তার ১০ শতাংশ রাখা হয়েছে- এটাতে লজ্জাবোধ করছি। আমরা হাওয়ার ওপরে কোনো প্রস্তাব দেইনি। এনবিআর চারমাসে আমাদের পেটের খবর নিলো, পরে আমাদের পেটেই ছুরি চালালো। অথচ আমরা  বই আকারে প্রস্তাব দিলাম, তার কিছুই রাখল না’।

‘এনবিআরকে প্রস্তাব না দিলেই এর চেয়ে বেশি পেতাম’ বলেও মন্তব্য করেন মাতলুব।

তিনি বলেন, ‌‘মূসক নিয়ে ৮৪টি, আমদানিশুল্ক নিয়ে ২৩৯টি ও আয়কর নিয়ে ১১৮টিসহ মোট ৪৪৭টি প্রস্তাব দিয়েছি। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই গৃহীত হয়নি। এজন্য আমি লজ্জাবোধ করছি’।

মাতলুব বলেন, ‘সময় এসেছে এনবিআরকে সঠিক পথে আনার। ব্যবসায়ীরা টিকেই না থাকতে পারলে ভ্যাট কোথা থেকে দেবেন? এনবিআর একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। তাহলে কেন এই প্রহসনের ডায়ালগ?’

এনবিআরের কর্মকর্তারাই রাজস্ব আদায় বাড়াতে চান না অভিযোগ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা রাজস্ব দিতে চান না- এ ধারণা প্রতিষ্ঠা করবেন না। রাজস্ব কর্মকর্তারাই চান না, রাজস্ব বাড়ুক। আমরা অনেক খবর পেয়েছি। তারা বলেন, কেন সরকারকে দেবেন? আমাদেরকে দিন’।

প্রস্তাবিত বাজেটে ভ্যাটের আওতা বাড়েনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারাই ভ্যাট দিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে আরও বেশি ভ্যাট আদায় করবে। ভ্যাটের নেট বাড়েনি। বার বার মিটিং করে আমাদের পেটের কথা বের করে আবার আমাদের পেটেই ছুরি চালাবে। ৪ বছরেও একটা সিস্টেম ডেভেলপ করতে পারেনি এনবিআর’।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘ভ্যাট আইন নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনায় যৌথভাবে ৭টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। তার একটিও প্রস্তাবিত বাজেটে আসেনি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি,  ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে বিষয়টির সুরাহা হবে’।

সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই’র জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা নয়, রাস্তা আটকানো নয়। আমাদের কাজ উৎপাদন করা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। আমরা চাই, সরকার আমাদের এসব কাজে সহযোগিতা করুক। এটাই আমাদের মূল দাবি’।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।