চাঁদপুরের ৮ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, বর্তমানে মাঠে যে আলু রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশ আলুই পরিপক্ক। ৫ মার্চ পর্যন্ত উপজেলা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলায় ৪০ ভাগ আলু উত্তোলন করা হয়েছে। বাকী আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাতে চাঁদপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে এবং সোমবার সকালে একটু বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয়। যার পরিমাণ হচ্ছে ২৩ মিলিমিটার।
দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নিজগাছতলা এলাকায় দেখা গেছে অনেক চাষিই আলু উত্তোলন করছেন। বৃষ্টির কারণে আলুর গায়ে মাটি লেগে আছে। মাটি ঝড়ে যাওয়ার জন্য জমিতেই রোদে শুকানো হচ্ছে।
নিজগাছতলা গ্রামের কৃষক শাহ আলম খান বাংলানিউজকে বলেন, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে এরপর বৃষ্টি হলে বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়বেন কৃষকরা। তাদের মাঠে প্রায় ১শ’ একর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে এখন পর্যন্ত অর্ধেক জমির আলু উত্তোলন বাকী রয়েছে।
একই এলাকার অপর কৃষক হান্নান মুন্সী জানান, তিনি এ বছর স্থানীয় জাতের আলু চাষ করেছেন। ফলে তার আলু উত্তোলন করতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। বৃষ্টির কারণে আলু মাটি সরে ভেসে উঠেছে। আলুতে পানি লাগার কারণে আলুর রং পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পার্শ্ববর্তী বালিয়া ইউনিয়নের কৃষক রতন মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এতে আলুর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ফের যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আলু নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। তবে আলু ছাড়া খিরা, আখ, বোরো ধান, ভুট্টা এসব ফসলের জন্য বৃষ্টি উপকার হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদপুরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এতে আমরা কোনো ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাইনি। দেশের কোনো কোনো জেলায় শিলা বৃষ্টি হলেও আমরা তা থেকে রক্ষা পেয়েছি। তবে আবার বৃষ্টি হলে আলু চাষিরা ব্যাপকহারে ক্ষয়ক্ষতিতে পড়বেন। এখন পর্যন্ত মাঠে ৬০ ভাগ আলু উত্তোলন বাকী রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, ০৬ মার্চ, ২০১৭
আরএ