ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও মৌসুমের প্রথম শীলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মুখ মলিন হয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলার জিন্নাগড়, আসলামপুর ও নীলকমল ইউনিয়নের প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং ৯০০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।
চাষিরা জানিয়েছে, গত বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর আরো বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু ফলন তোলার আগেই শীলাবৃষ্টিতে তরমুজ খেতে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
অনেকেই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন। কেউ কেউ খেত পরিচর্যা করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, তবে বেশিরভাগ চাষিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কীভাবে আবাদের খরচ উঠাবেন আর ঋণ পরিশোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত চাষিরা।
কৃষি বিভাগ ও চাষিদের তথ্য মতে জানা গেছে, চরফ্যাশনে তরমুজ চাষের জন্য আবহাওয়া উপযোগী। সেখানে হেক্টর প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টন তরমুজ উৎপাদন হয়, সে হিসেবে ২৫০ হেক্টরে ১২ হাজার ৫০০ টন তরমুজ নষ্ট হতে পারে। যা টাকার অংকে প্রায় ২৫ লাখ।
অন্যদিকে কাঁচা মরিচে হেক্টর প্রতি ২ টন উৎপাদন হয়, সেখানে প্রায় ১২০ টন মরিচের ক্ষতি হতে পারে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোতোষ বলেন, শীলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত তরমুজ চাষিদের ছত্রাকনাশক দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত গাছ ও পাতা তুলে ফেলতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে পরে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এতে কিছুটা হলেও রিকভারী হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ০৮ মার্চ, ২০১৭
আরএ