ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

আতঙ্কে বিরামহীন কাস্তের ফ্যাঁস! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
আতঙ্কে বিরামহীন কাস্তের ফ্যাঁস!  ফসল ক‍াটতে ব্যস্ত কৃষকেরা-ছবি-বাংলানিউজ

বগুড়া: ফসলের মাঠ ছেয়ে আছে সোনা রঙে। বিস্তীর্ণ মাঠে শোভা পাচ্ছে আধাপাকা ধান। কয়েকদিন আগের ভারী বর্ষণের ক্ষত এখনো শুকায়নি অনেক ফসলি জমি থেকে। মাটিতে শুয়ে আছে অনেক ক্ষেতের ধান। অনেক নিচু জমির ধান এখনো রয়েছে তলিয়ে।

এদিকে মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে মেঘের আনাগোনা। বিকেল থেকে মেঘের ঘনঘটা থাকলেও গেল চারদিনে বৃষ্টি হয়নি।

তবে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় কৃষকের মনে স্বস্তি নেই। ঝড়-বৃষ্টি আর কালবৈশাখীর ছোবল থেকে ক্ষেতের উঠতি ফসল ঘরে তোলা নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত।  
অনেকটা আতঙ্ক নিয়েই ধান কাটতে মাঠে ব্যস্ত কৃষকরা। ধান গাছে বিরামহীন কা‍স্তের ফ্যাঁস চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। কৃষাণীরা সেই ধান মাড়াইয়ে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বগুড়ার কয়েকটি উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিন দেখে এসব তথ্য জানা যায়।  

ফসল মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা-ছবি-বাংলানিউজজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ জেলার ১২টি উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১ লাখ ৯০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান লাগানো হয়েছে।  
পশ্চিম বগুড়ার সদর, নন্দীগ্রাম, শেরপুর, শাজাহানপুর, কাহালু, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া ও শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা আগাম জাতের ধান চাষ করেন। এখন তারা সেই ধান কাটতে মাঠে রয়েছেন। তবে পুরোপুরি ধানকাটা ও মাড়াই শুরু হতে আরো অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান কৃষকরা।

মীর বকস, শহীদুল ইসলাম, গোলাম রব্বানীসহ একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, এ বছর আবহাওয়ার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না তারা। ইতোমধ্যেই তাদের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় তারা আর ঝুঁকি নিতে চান না। মোটাম‍ুটি পেকেছে এমন ধান ক্ষেতে রাখছেন না। দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কেটে মাড়াইয়ের চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধানের দামও ভালো। জমি থেকে ধান কেটে ভালো দামে বাজারে বিক্রি করা যাচ্ছে।  

ফসল বস্তায় ভরছেন কৃষকেরা-ছবি-বাংলানিউজকৃষকের মনে নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেই আনন্দে অনেকটা ভাটা পড়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের হর্টিকালচার সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর কৃষিবিদ আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে আবহাওয়া বৈরী। চলতি মৌসুমের উঠতি বোরো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সবাই চিন্তিত। কাটার উপযোগী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/এসএইচ
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।