বৃহস্পতিবার (০৪ মে) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যানিমেল ফার্মে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সাফল্যের কথা জানান প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. নাছরিন সুলতানা জুয়েনা।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থার প্রচলন থাকলেও নানা কারণে গবাদি পশুর গর্ভধারণের হার এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১১টি ভেড়ীতে ২২টি হিমায়িত ভ্রুণ এবং চারটি গাভীতে আটটি হিমায়িত ভ্রুণ স্থাপন করা হয়। দীর্ঘ আড়াই বছরের গবেষণার পর মঙ্গলবার (০২ মে) রাতে ১১টির মধ্যে একটি ভেড়ী দু’টি সুস্থ শাবক জন্ম দিয়েছে। শাবক দু’টির নাম দেয়া হয়েছে বাউ-ভি আশা ও বাউ-ভি উৎস। ভ্রুণ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ভেড়ার বাচ্চা উৎপাদনের ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম।
কম সময়ে উচ্চগুণ সম্পন্ন বেশি সংখ্যক গবাদি পশুর বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের হেকেপ প্রজেক্টের মাধ্যমে এই গবেষণা শুরু হয়।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. নাছরীন সুলতানা জুয়েনা বলেন, সাধারণত প্রতিটি ভেড়ী বছরে সর্বোচ্চ চারটি এবং গাভী একটি বাচ্চা প্রসব করতে পারে। কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় একটি নির্বাচিত উন্নত জাতের ভেড়ী ও গাভী থেকে সুপার ওভুলেশনের মাধ্যমে বছরে ২৫ থেকে ৩০টি উচ্চ গুণ সম্পন্ন ভ্রুণ উৎপাদন করা সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রথমবারেই ভ্রুণ প্রতিস্থাপন করে সাধারণ জাতের ভেড়ী ও গাভী থেকে উন্নত জাতের বাচ্চা উৎপাদন করা যেতে পারে। এতে একজন খামারী অল্প সময়ে গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন করতে পারবেন।
প্রকল্পের ডেপুটি প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ভ্রুণ সংরক্ষণ ও প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কৃষকরা প্রয়োজন মতো ভ্রুণ সংগ্রহ করে তা প্রতিস্থাপন করে গবাদি পশুর মানসম্মত প্রজনন নিশ্চিত করতে পারবেন।
এছাড়া বাকৃবি’র ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগে স্থায়ী সিমেন ও ভ্রুণ ব্যাংক করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
এসআই