বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের নেতৃত্বে দলটি পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকারী দলটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানেন।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলেন, ধানক্ষেতের পাশেই অবস্থিত একটি ইটভাটা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ গত ২১ এপ্রিল চালু করে। চালু হওয়ার রাতে ইটভাটার চিমনি থেকে বিকট শব্দ হয়ে এক প্রকার দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস নির্গত হয়। পরদিন ওই এলাকার ধানক্ষেতে সদ্য বের হওয়া কচি শীষ দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যায় ও পরবর্তীতে সম্পূর্ণ চিটায় পরিণত হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তারা ইটভাটাটি সাময়িক বন্ধ করে দেয়।
হাবিপ্রবি পরিদর্শন দলের প্রধান ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সমবেদনা জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেতের খবর পেয়ে আমরা এলাকায় ছুটে এসেছি। কৃষির ওপর ভিত্তি করেই হাবিপ্রবি গড়ে উঠেছে। আমরা চাই এলাকার কৃষি ও কৃষকের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় সম্পর্ক থাকুক।
কৃষকের সমস্যা নিয়ে আমরা গবেষণা করতে চাই ও সমস্যা সমাধানের জন্য যথোপযুক্ত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তাদের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। ক্ষতিগ্রস্ত ধানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হবে ও এর সঠিক কারণ নির্ণয় করে কৃষকদের জানানো হবে বলেও জানান আবুল কাসেম।
প্রতিনিধি দলের বিশেষ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হাবিপ্রবির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, ফসল শারীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
জিপি/এএ