ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বেড়েছে রসুনের দাম, পেঁয়াজে স্বস্তি

অন্তু মুজাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৭
বেড়েছে রসুনের দাম, পেঁয়াজে স্বস্তি পেঁয়াজ ও রসুন- ছবি- দিপু মালাকার

ঢাকা: রোজা শুরুর দুই মাস আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়া শুরু হয়। তবে রোজার সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে, ব্যবসায়ী, বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এরকম বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিলেও তার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব তো হয়নি বরং প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।  
 
 

রোজার সপ্তম দিন শনিবার (০৩ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারে দেখা যায়, মাছ-মাংস ও শাক-সবজির দাম সহনীয় হলেও বেড়েছে রসুনের দাম।  
 
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে রসুনের দাম মানভেদে কেজি প্রতি ৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ভারতীয় রসুন কেজি প্রতি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবার তা ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হওয়া চীনা রসুন এ সপ্তাহে ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।  
 
অথচ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় আমদানিকৃত রসুনের দাম মানভেদে ৩৩০-৩৫০ টাকা দেখানো হচ্ছে।  
 
ভোজ্যতেল, মসলা 
৫ লিটারের ভোজ্যতেলের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০-৫১০ টাকা, প্রতি লিটার ১০০-১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দারুচিনি কেজি ৩৬০ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১৫০০ টাকা, এলাচ ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
চাল, ডাল
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মোটা স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ৪৫ টাকা, পারিজা ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর২৮ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির ৪১ টাকা এবং পোলাওর চাল ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া প্রতি কেজি ছোলা ৯৫ টাকা, মুগ ডাল ১৩৫ টাকা, ভারতীয় মুগ ডাল ১২৫ টাকা, মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
শাক-সবজি 
কাঁচা পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি টমেটো ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা (পিস), কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২৬ থেকে ৩০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেক ৪৫ টাকা, পালং শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছ মাংস 
আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, কৈ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, মাগুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রকারভেদে চিংড়ি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, প্রতি কেজি ইলিশের দাম মানভেদে ৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
 
এছাড়া গরুর মাংস কেজি প্রতি ৪৯০-৫২০ টাকা, খাসির মাংস ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০, পাকিস্তানি লাল মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।