এছাড়া মাছ চাষ ও পোনা উৎপাদনে সফলতা অর্জনের জন্য আরও তিনজনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৭ উপলক্ষে সোমবার (২৪ জুলাই) বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার তুলে দেন বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমির বিশ্বাস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম।
সূচনা প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের কারিগরি সহযোগিতায় সূচনা প্রকল্পের উপকারভোগী কুঞ্জলাতা পুকুরে পুষ্টি সংবেদনশীল মাছ ও পুকুর পাড়ে সবজির সমন্বিত চাষের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ ও সবজি সমন্বিতভাবে চাষ করছে। এরই স্বীকৃতি স্বরুপ কুঞ্জলতাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
এছাড়া বড়লেখা উপজেলার মাইজগ্রাম গ্রামের আলম হোসেন, দক্ষিণ নামাটিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম ও কলারতলীপাড় গ্রামের ছাদিকুর রহমানকে মাছ চাষে সফলতার অর্জনের জন্য ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়েছে।
পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সূচনা প্রকল্পের মনিটরিং, ইভাল্যুয়েশন এন্ড নলেজ ম্যানেজমেন্ট অফিসার শরীফুজ্জামান বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে পুকুরে পুষ্টি সংবেদনশীল মাছ ও পুকুর পাড়ে সবজির সমন্বিত চাষের জন্য সূচনা প্রকল্প চাষিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
‘এক্ষেত্রে বড়লেখা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়ে থাকি। সূচনা প্রকল্পের উপকারভোগী কুঞ্জলতাকে পুরষ্কৃত করাতেই বোঝা যাচ্ছে আমরা সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। ’
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় অপুষ্টির হার অনেক বেশি। এজন্য অপুষ্টি চক্র প্রতিরোধে জেলায় সূচনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)। সিলেট জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এফআইভিডিপি ও আরডিআরএস বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এমএ/