চারদিনের বন্যায় জেলায় কৃষিখাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে টাকার অংকে প্রায় ২৬ কোটি টাকা।
নীলফামারী জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবারের বন্যায় ৫৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গত দশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মৎস্য বিভাগের আওতায় ২৪ হাজার ৯৭০টি পুকুর ও ২ হাজার ২৩০টি সাইফুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসান ফেরদৌস সরকার।
এছাড়া সড়ক বিভাগের আওতায় জেলা, আঞ্চলিক এবং জাতীয় মহাসড়ক মিলে ২৬০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বন্যার কারণে বিধ্বস্ত হওয়া বাঁধ মেরামতে প্রায় ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা এ টি এম আখতারুজ্জামান জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার ছয় উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। সম্পূর্ণ ও আংশিক মিলে ৪১ হাজার ৫৩৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ৩১৬ মেট্রিক টন চাল ও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ অধিদফতর। এছাড়া ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বানভাসিদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, গোটা জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যতোটুক পাওয়া গেছে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে দ্রুত পৌঁছে দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাবে জেলা প্রশাসন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে বানভাসি মানুষের চিকিৎসাসেবায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঠে অবস্থান করাসহ ছয় উপজেলায় ছয়টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন রণজিৎ কুমার বর্মণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
এএসআর