রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. হাওয়ার্থ ই বস। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কার্যালয়ে তৃতীয় তলার কনফারেন্স কক্ষে বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান।
পুষ্টি নিয়ে কাজ করা এ প্রতিষ্ঠানটি বিগত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ২৫টি এনজিও এবং ৩টি বীজ উৎপাদন সমিতিকে এ ধানের জাত সম্প্রসারণে কারিগরি ও আর্থিক (আংশিক) সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এতে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪শ’ কৃষি পরিবারের কাছে জিংক ধানের জাত পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন স্পেশিয়ালিস্ট সাবরিনা খান।
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. খাইরুল বাশার।
খাইরুল বাশার তার বক্তব্যে বলেন, বিগত চার বছর ধরে হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। জিংক ধান এমন একটি ধান যা মানুষের শরীরের ৭০ শতাংশ ভাগ পর্যন্ত জিংকের অভাব দূর করতে পারে। এজন্য আমরা গত ৪ বছরে বাংলাদেশের ৬২ জেলার ৩৫০টি উপজেলায় জিংক ধানের বীজ বিনামূল্যে পৌঁছে দিয়েছি।
তিনি বলেন, হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশে আজীবন থাকবে না। এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত সরকারিভাবে এ ধানের চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা। সর্বস্তরের মানুষের কাছে জিংক ধান সহজলভ্য করতে হারভেস্টপ্লাস ইতোমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হাওয়ারথ ই বস বলেন, পৃথিবীতে বহু মানুষ রয়েছে যারা পুষ্টিহীনতায় ভোগেন। তাদের সঠিক পুষ্টির সন্ধান দিতে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। কাউকে অর্থের যোগান দিতে হবে। এজন্যই আমি এ কাজ শুরু করেছি।
হাওয়ার্থ ই বস বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৪টি উচ্চ ফলনশীল জিংক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি হাইব্রিড জাতের জিংক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। হারভেস্টপ্লাস এসব ধানের সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে।
ধানের জাতগুলো হলো-আমন মৌসুমের ব্রি-৬২ ও ব্রি-৭২ এবং বোরো মৌসুমের ব্রি-৬৪ ও ব্রি-৭৪। এসব ধানের চাষে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। অন্যান্য ধানের মতোই এ ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি। এ ধানের ভাত খেয়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াসহ শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশ ও শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
এসআইজে/ইউএম/আরবি/