উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হলো- উপজেলা সদর, মৈদং ও দুমদুম্যা এলাকার চাষাবাদ জমি। প্রবল বৃষ্টিতে এখানকার জমিতে চাষ হওয়া আমন ধান সব নদীতে ডুবে গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় থেকে জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে জুরাছড়ি সদর, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা ধানের ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের লুলাংচুড়ি, চুমাচুমি, সামিরা, ঘিলাতলী, শিলছড়ি, মৈদং ইউনিয়নের বারবান্য, মন্দিরাছড়া, জামের ছড়ি, তালুকদার পাড়া, নলবনিয়া, পানছড়ি মুখ, হাজাছড়ি, উবুকছড়ি, তিনটিলা, মরল্যাছড়া, ফকিরাছড়া এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের বস্তিপাড়া, বড়কলক তারাবনিয়া গ্রামে চাষকৃত আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব জমির প্রায় দেড় হাজার কৃষক ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
মৈদং ইউনিয়নের কৃষক সনজীত তালুকদার বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে ধানজমি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা। আর্থিকভাবে চরম ক্ষতি হয়েছে তাদের। এজন্য তিনি সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সদর ইউনিয়নের লুলাংছড়ি এলাকার কৃষক উদিরাম চাকমা জানান, প্রবল বর্ষণের কারণে তার পাঁচ একর জমিতে চাষ করা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির কথাও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রবল বর্ষণে এবার উপজেলার সাত হেক্টর জমিতে চাষকৃত আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, উপজেলার মৈদং ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শ করেছেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, ১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা তার সফর সঙ্গী ছিলেন।
চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছরের ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা বর্ষণের কারণে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩০ ঘণ্টা, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম/এসআরএস