ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

৬০ দিনেই ফলন, লাভবান হবেন আলুচাষিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
৬০ দিনেই ফলন, লাভবান হবেন আলুচাষিরা আলুচাষি, ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: শীতের সকালে সূর্যের আলো ফোটার আগেই কৃষকরা ছুটছেন ক্ষেতে। অনেকের হাতে লাঙ্গল আর বগলে আলুবীজের ডালি। মাঠে গিয়ে ষাইটা আলু লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন নারী-পুরুষ-কিশোররা।

বপনের মাত্র ৬০ দিনের মাথায় উঠানো যায় বলে এলাকার মানুষ এ আলুকে ষাইটা বলে চেনেন ও জানেন।

নীলফামারীর ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরের সর্বত্র এখন ষাইটা আলু লাগানোর ধুম পড়েছে।

আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ হতে আরও কয়েকদিন বাকি আছে। এই ফাঁকে উ‍ঁচু ও পরিত্যক্ত জমিতে এ জাতের আলু লাগাচ্ছেন কৃষকেরা।  

আলুটি দেখতে দেশি আলুর মতো, তবে রং লাল। স্বাদ দেশি আলুর মতো হলেও একটু শক্ত। তবে চামড়া খুব নরম।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, হাট-বাজার ও গৃহস্থ বাড়ি থেকে এ আলুর বীজ সংগ্রহ করে জমিতে লাগানো ও পরিচর্যার কাজ করছেন কৃষকেরা। বপনের মাত্র ৬০ দিনের মাথায় আলু তুলে বাজারে বিক্রি ও ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন- এমনটিই আশা তাদের।

নীলফামারী সদর উপজেলার অচিনার ডাঙ্গার কৃষকরা বিঘার পর বিঘা জমিতে ষাইটা আলু লাগাচ্ছেন। পুরুষ কৃষিশ্রমিকরা ৩০০ টাকা, নারীরা ১৭০ টাকা ও কিশোররা ১০০ টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছেন।  

কৃষক যতীন চন্দ্র জানান, তিনি দুই বিঘা  জমিতে এ আলুর চাষ করছেন। এ জাতের আলুতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়, মোটামুটি ফলনও ভালো হয়। দুই মাস বা তার আগে আলু ওঠায় ভালো দাম পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

সৈয়দপুর উপজেলার দলুয়া চৌধুরীপাড়ার কৃষক আমিনুল হাসান বলেন, ‘নতুন আলু না ওঠা পর্যন্ত কোল্ডস্টোরেজের আলু খেতে হয়। যা অনেকটা মিষ্টি লাগে, স্বাদও কম। এ কারণে বাড়িতে খাওয়ার জন্য ১০ কাঠা জমিতে ষাইটা আলু লাগিয়েছি। এ আলু আবাদে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম। তাই প্রতি বছর ১০ কাঠা থেকে এক বিঘা জমিতে আবাদ করি’।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad