ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

নওগাঁয় আলুর ফলনে বিপর্যয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
নওগাঁয় আলুর ফলনে বিপর্যয় ক্ষেত থেকে আলু তোলার গায়ে পচন-ছবি-বাংলানিউজ

নওগাঁ: চলতি মৌসুমে বড় ধরনের ফলন বিপর্যয়ে পড়েছেন নওগাঁর আলু চাষিরা। এরই মধ্যে ব্যাপকহারে আলু তোলা শুরু হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ আলুর গায়ে দাগ আর পচন দেখা যাচ্ছে, সঙ্গে ফলনও হয়েছে অনেক কম। 

কৃষি বিভাগের দাবি বন্যা আর বৃষ্টির প্রভাবই এমনটি হয়েছে।  

কৃষকরা জানান, এ বছর জেলায় কাঁঠিলাল, হলেন্ডারসহ প্রায় ৬ জাতের আলু চাষ হয়েছে।

কিন্তু ক্ষেত থেকে আলু তোলার পর আলুর গায়ে কালো দাগ আর পচন দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ মৌসুমে বিঘাপ্রতি সাধারণত ৬০ মণ আলু হওয়ার কথা। কিন্তু তা কমে গড়ে ফলন হচ্ছে ৩০ মণ পর্যন্ত। এমন জমিও আছে যেগুলোতে বিঘাপ্রতি ১০ মণ আলু উৎপাদন হয়েছে।  

আলুতে পচন-ছবি-বাংলানিউজগত মৌসুমে এ অঞ্চলের যেসব কৃষক কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলেন লোকসানের কারণে তাদের বেশিরভাগই এখনও আলু বের করতে পারেননি। কারণ ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলু রাখার জন্য কৃষকদের খরচ দিতে হয় ৭শ‘ টাকা। কিন্তু এখন আলু নিতে গেলে দিতে হবে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার বিপরীতে বাজারে আলুর দাম প্রতি মণ সাড়ে ৬’শ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এ অবস্থায় আলু নিতে গেলে লোকসান হবে সাড়ে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত।  

মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি গ্রামে আলু চাষি মোজাম্মেল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মোট তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এ বছর আলুতে লাভ হবে না। বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ আলু উৎপাদনের আশা করা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একে তো আলুর ফলন কম তারপর আবার গায়ে দাগ আর পচন দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার আলুতে খুব লোকসান হবে। এভাবে যদি প্রতি বছর আলুতে লোকসান হয়। তাহলে চাষিরা আর আলু চাষ করতে পারবে না।  

ক্ষেত থেকে আলু তুলছেন কৃষকেরা-ছবি-বাংলানিউজএকই গ্রামের আজাহার বাংলানিউজকে জানান, এসব জমিতে সাধারণত বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ হারে আলু হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর তা নেমে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৩০ মণ পর্যন্ত। শুধু তাই নয় আলুর গায়ে দাগ আর পচন থাকায় দামও মিলছে না আশানুরূপ। তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আলুর আবাদও হয়েছে অনেক কম।  

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বাংলানিউজকে জানান, গত বছর জেলায় আলু চাষ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। বন্যা কবলিত জমিতে ময়েশ্চার বেড়ে যাওয়া এবং অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে এবারে ফলনে বিপর্যয় ঘটেছে। তবে আলুর গায়ে দাগ ও পচন রোধে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।