ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

বোরো আবাদের ধুম, ৩ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
বোরো আবাদের ধুম, ৩ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বোরো আবাদের ধুম

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় বোরো আবাদের ধুম লেগেছে। প্রচণ্ড শীত, কুয়াশা, বীজতলা নষ্ট হওয়াসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলার ৭৩ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর, কলারোয়ার ১২ হাজার ২৮০ হেক্টর, তালার ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর, দেবহাটার ৬ হাজার ৩০ হেক্টর, কালিগঞ্জের ৫ হাজার ৩৪০ হেক্টর, আশাশুনির ৬ হাজার ৫১০ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলার ১ হাজার ৬৫২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বোরো আবাদের ধুম

একই সঙ্গে চলতি বোরো মৌসুমে ৩ লাখ ৬২৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯৭ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ৪৮ হাজার ৭৮৫ মেট্রিক টন, তালায় ৭৩ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ২৫ হাজার ১৮৯ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ২১ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ২৭ হাজার ৫৪৪ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ৬ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বোরো আবাদের ধুম

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুর গ্রামের কৃষক আবু সিদ্দিক বাংলানিউজকে জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য বীজতলা করেছিলেন। কিন্তু তার বীজতলার অর্ধেকটা লালচে বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যায়। এতে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়লেও চারা কেনে বোরো আবাদ করেছেন তিনি।

পানি সেচের সংকট না হলে লোকসান কাটিয়ে ওঠা যাবে উল্লেখ করে শুষ্ক মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক দিলীপ তরফদার বাংলানিউজকে জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে ‘২৮ জাত’র ধান লাগিয়েছেন। প্রয়োজনের সময় অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে সেচ সংকট না হলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। বোরো আবাদের ধুম

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, সাতক্ষীরায় খুব ভালো ধান হয়। খুব সহজেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে। তবে উৎপাদন যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ-বালাইসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তাই কিছুটা সংশয় থেকেই যায়। যদিও সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করার জন্য কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।