ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মানিকগঞ্জে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে লাভবান চাষিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৩ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৮
মানিকগঞ্জে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে লাভবান চাষিরা মিষ্টি কুমড়া। ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: আবহাওয়া ভালো থাকায় আর সঠিকভাবে পরিচর্যায় মানিকগঞ্জে বাম্পার ফলন হয়েছে ‘মিষ্টি কুমড়া’র। অল্প পুঁজি আর কম পরিশ্রমে অধিক লাভ হওয়ায় মিষ্টি কুমড়ার চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এ জেলার চাষিদের। এছাড়া রাজধানীর সঙ্গে মানিকগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব ভালো। সেজন্য পাইকারি ক্রেতাও মিলছে খুব সহজেই। সবমিলিয়ে মিষ্টি কুমড়ার চাষে এবার লাভবান মানিকগঞ্জের চাষিরা। 

মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় কম বেশি মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়। তবে জেলার সিংগাইর, ঘিওর, মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি।

স্থানীয় চাহিদার তুলনায় আবাদের পরিমাণ বেশি হওয়ায় জমি থেকেই পাইকারি ক্রেতাদের কাছে চুক্তিতে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করছেন অনেক চাষিরা।

মিষ্টি কুমড়ার চাষের জন্যে জমি তৈরি, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ও কৃষকদের মজুরিসহ অন্যান্য সবমিলে বিঘাপ্রতি খরচ হয় প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকা। প্রতিবিঘা জমিতে ৮শ থেকে প্রায় ১ হাজার পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যায়। যার পাইকারি বাজারদর ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। তবে স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি করলে প্রায় দ্বিগুণ মুনাফা পাওয়া সম্ভব বলেও জানান চাষিরা। মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত।  ছবি: বাংলানিউজজেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া এলাকার মিষ্টি কুমড়া চাষি করিম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, 'চলতি মৌসুমে তিনি ৮২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করেছেন। আলু ও পেঁয়াজের সঙ্গে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করায় খরচও হয়েছে একেবারে সীমিত। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারের ফলনও হয়েছে সন্তোষজনক। এতে করে বেশ লাভবান তিনি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকি ও শ্রম কম। এজন্য প্রায় ২০ বছর ধরে নিয়মিতভাবে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে আসছেন তিনি। স্থানীয় বাজারে খুচরাভাবে এতো কুমড়া বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে পাইকারিভাবে জমি থেকেই চুক্তিতে সব কুমড়া বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি।

একই এলাকার কৃষক আমজাদ মিয়া জানান, 'অল্প খরচ আর স্বল্প পরিশ্রমে মিষ্টি কুমড়ার ফলন পাওয়া যায়। গাছে ফল আসার পরপরই জমি থেকে পাইকারিভাবে চুক্তিতে জমির ফসল বিক্রিও করা যায়। এছাড়া অন্যান্য ফসলের সঙ্গে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা সম্ভব হওয়ায় এটি চাষে এলাকার কৃষকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান তিনি। মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত।  ছবি: বাংলানিউজআবু রায়হান (পাইকারি ক্রেতা) জানান, বাইপাইল, কারওরানবাজার-যাত্রাবাড়ীতে মানিকগঞ্জের মিষ্টি কুমড়ার বেশ চাহিদা রয়েছে। জেলার সঙ্গে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো। তবে প্রতিবছর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে বেশ লাভবান হলেও অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এবার তেমন লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।

জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। কুমড়ার ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া চাষ করে জেলার প্রায় পাঁচ হাজার চাষি এবার বেশ লাভবান।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৮
কেএসএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।